ভূমিকা: বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রাজধানী বলা হয় কক্সবাজারকে। কিন্তু এই জেলার গহীনেই লুকিয়ে আছে আরেক নয়নাভিরাম স্থান—হিমছড়ি জলপ্রপাত। সবুজ পাহাড়, ঝরনার শীতল জলধারা আর পাখির কূজনে ভরা এই জলপ্রপাত প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এক স্বর্গীয় গন্তব্য। চলুন জানা যাক এই স্থানের রহস্য!
কেন যাবেন হিমছড়ি জলপ্রপাতে?
১. প্রাকৃতিক স্নান: জলপ্রপাতের স্বচ্ছ জলধারায় গোসল করলে গরমেও পাওয়া যাবে শীতল পরশ।
২. ট্রেকিং অ্যাডভেঞ্চার: ঘন বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে ট্রেক করে জলপ্রপাত পর্যন্ত পৌঁছানোর রোমাঞ্চই আলাদা!
৩. ফটো স্পট: সবুজ পাহাড় আর জলের ফোয়ারার ব্যাকগ্রাউন্ডে ছবি তুলতে ভুলবেন না।
কী দেখতে পাবেন?
- জলপ্রপাতের নাচন: বর্ষায় প্রায় ২০০ ফুট উঁচু থেকে নেমে আসে জলধারা। শুকনো মৌসুমে হালকা প্রবাহ থাকলেও সৌন্দর্য কমে না।
- হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান: জলপ্রপাতের পাশেই রয়েছে এই উদ্যান। এখানে দেখা মিলবে বানর, বিভিন্ন পাখি ও বিরল গাছপালা।
- ইনানী বিচ: জলপ্রপাত থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে অবস্থিত বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত।
যাওয়ার উপায়:
- কক্সবাজার থেকে: জিপ/চাঁদগাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে। দূরত্ব প্রায় ১৩ কিমি (ভাড়া: ৮০০-১২০০ টাকা)।
- চট্টগ্রাম থেকে: বাসে কক্সবাজার (৫-৬ ঘণ্টা), তারপর হিমছড়ি।
- গাইড: স্থানীয় গাইড (২০০-৩০০ টাকা) সাথে নিলে পথ হারানোর ভয় নেই।
সেরা সময়:
জুন থেকে সেপ্টেম্বর (বর্ষা) জলপ্রপাতের পূর্ণ রূপ দেখতে। তবে শীতকালেও প্রকৃতির শান্ত পরিবেশ উপভোগ করা যায়।
টিপস:
- জুতা: ট্রেকিংয়ের জন্য আরামদায়ক জুতা পরুন।
- পানি ও স্ন্যাকস: হাঁটার পথে দোকান কম, তাই সঙ্গে রাখুন।
- পরিবেশ: প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলবেন না, প্রকৃতিকে পরিষ্কার রাখুন।
উপসংহার:
হিমছড়ি জলপ্রপাত শুধু একটি পর্যটন স্পট নয়, এটি প্রকৃতির মায়াবী কোলে এক টুকরো শান্তি। পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসুন এই অপরূপ স্থান থেকে। মনে রাখবেন, প্রকৃতির সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব!